হাসিনার পতনের আগেই ড. ইউনূসকে সরকারপ্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়: নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি

গত বছরের ৪ আগস্ট নতুন সরকার গঠনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল এবং তাকে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত বছরের ৪ আগস্ট শাহবাগে অবস্থান ও বিক্ষোভ করা হয়। এরপর ৬ আগস্ট 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও সরকার সেদিন কারফিউ জারি করে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালায়। তিনি জানতে পারেন, সরকার ৬ আগস্টের কর্মসূচি বানচাল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং মোবাইল ও ইন্টারনেট বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল। এছাড়া, আন্দোলনকারীদের হত্যা বা গুম করা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় তারা 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি একদিন এগিয়ে ৫ আগস্ট নির্ধারণ করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এই সংগঠক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন। তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনের নেতাদের গ্রেপ্তারের পর শেখ হাসিনা প্রশাসন তাদের ওপর আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিল। ১৬ জুলাই থেকে গণমাধ্যমকে হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ ও আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি তুলে ধরা থেকে বিরত রাখা হয়।
নাহিদ ইসলাম সাক্ষ্য দেন যে, শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা জুলাইয়ের গণহত্যার জন্য দায়ী। তিনি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান। এর আগে, বুধবারের জবানবন্দিতে তিনি জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দমন-পীড়নের বর্ণনা দিয়েছিলেন।
এদিকে, রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে গুলি এবং আরও দুজনকে হত্যার মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আজ ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠনের আদেশ দেবেন।
Comments