Image description

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার সরকারের প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের বর্বরতা দেশের মূল্যবোধ, আইন ও সভ্য সমাজব্যবস্থার ওপর সরাসরি আঘাত। সরকার দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে, জীবিত ও মৃত সকলের মর্যাদা রক্ষায় তারা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই ঘৃণ্য অপরাধে জড়িত সকল ব্যক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কেউ দায়মুক্তি পাবে না।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একদল লোক নুরুল হকের কবর থেকে তার মরদেহ তুলে এনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা নুরুল হকের দরবার শরিফ ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবরটি মাটি থেকে উঁচু করে কাবা শরিফের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় 'তৌহিদি জনতার' মধ্যে কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জুমার নামাজের পর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়।