
বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুই দেশ একটি ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বুধবার ভিয়েতনামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. লুৎফর রহমান এই স্মারকটিকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক আলোচনা ও সভা আয়োজনের পথ খুলে দেবে।
চুক্তিটি বাংলাদেশ ও লাওসের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং বিনিয়োগসহ সব ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করতে সহায়ক হবে।
রাষ্ট্রদূত রহমান আশা প্রকাশ করেন, এই স্মারক শুধু দ্বি-পাক্ষিক বন্ধনই নয়, বরং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামেও উভয় দেশকে পরস্পরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা করতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ যে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হতে আগ্রহী, তা আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
লাওসের রাষ্ট্রদূত খামফাও এনথাভান এই চুক্তিকে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের সভার জন্য একটি স্থায়ী ফোরাম হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে।
বাংলাদেশ ও লাওস ১৯৮৮ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং এটি তাদের মধ্যে গঠনমূলক কূটনৈতিক সভা ও সংলাপ সংক্রান্ত প্রথম চুক্তি। বর্তমানে ভিয়েতনামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস লাওসের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দেখাশুনার দায়িত্ব পালন করছে।
Comments