
শেখ হাসিনা ও তার সরকার এত জঘন্য অপরাধ করে গেছে যা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীও করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার সরকার যে জঘন্য অপরাধ করে গেছে, এমন অপরাধ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সংগঠিত হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জুলাই গণহত্যা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন। আইন উপদেষ্টা বলেন, গণহত্যার বিচারে কোনো অন্যায় বা গাফিলতি করিনি, বিচার নিয়ে আন্তরিকতায় কোনো কমতি নেই, আল্লাহ সাক্ষী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দোসররা বাংলাদেশে যে অপরাধ করেছে, আমি স্যরি,আমার মনে হয় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীও এত জঘন্য অপরাধ করেনি। মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা, আহত মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা বলতে পারেন ২৫শে মার্চের কালো রাত্রি হয়েছে। অবশ্যই ২৫শে মার্চের কালো রাত্রিতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ওটাতো অন্য দেশের বাহিনী। আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি তারপর।
আসিফ নজরুল বলেন, একাত্তর সালে ডেডবডি পুড়িয়েছে এমন ফুটেজ দেখি নাই। একজন আহতকে নিয়ে যাচ্ছে এক বন্ধু সেখানে গুলি করা হয়েছে এমন ঘটনা কোনো মুক্তিযোদ্ধার মুখে শুনি নাই। এর বিচার যারা করবে না, তারা আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, এতবড় গণহত্যার পরও ফ্যাসিস্টদের কোনো অনুশোচনা নেই, এখনো চক্রান্ত করে চলছে। এমন ভাবে অকাট্য সাক্ষ্য রেখে যাব, চাইলেই কোনো সরকার গণহত্যার বিচারে শৈথিল্য করতে পারবে না।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এমনভাবে গণহত্যার বিচার করতে চাই, যেন কেউ এই বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ তাদের অপরাধের এমন অকাট্য দলিল রেখে গেছে যে, তাতে কেউ এই বিচার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই অপরাধের বিচারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার তাই করা হচ্ছে।’ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে আর আমরা কী দৃশ্যমান দেখাবো।’
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক ব্যর্থতা থাকতে পারে, কিন্তু বিচার করার চেষ্টার কোনো ব্যর্থতা নেই। কারণ বিচার একটি জটিল প্রক্রিয়া। বিশেষ আইনে করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার মহা অপরাধ করে গেছে, আমরা এমনভাবে বিচার করব যাতে ভবিষ্যতে বিচার নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠতে না পারে।’ বিচারে মানুষ ও শহীদ পরিবার শান্তি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Comments