
বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দু'দিন পর রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাংবাদিক এবং অভিভাবকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া আর কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকের ভেতর থেকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ফটকের ভেতরে নিরাপত্তাকর্মীরা দাঁড়িয়ে আছেন এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্যও সেখানে উপস্থিত। বাইরে গণমাধ্যমকর্মী ও অভিভাবকরা অপেক্ষায় আছেন, পাশাপাশি আশপাশের এলাকার উৎসুক জনতাও ভিড় করছেন। তাদের কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন যে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের নিষেধ করেছেন।
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসেছেন আমির হোসেন। তার ছেলে এ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তার ছেলের কোনো ক্ষতি না হলেও তিনি নিজ চোখে স্কুলের পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন। আমির হোসেন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, "বিমান বিধ্বস্তের সময় (২১ জুলাই) অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে ছিলাম। গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে ঢাকা ফিরেছি। তাই এখন স্কুলটা দেখতে আসলাম। কিন্তু স্কুলের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।"
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৩১ জন নিহত এবং ১৬৫ জন আহত হয়েছেন।
Comments