
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলওয়ের জমিতে স্থাপিত অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়াকে ঘিরে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শুক্রবার(২৭ জুন) সরকারি জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরানো প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে তিনি এই কথা বলেন।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করেন। পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
উপদেষ্টা আরও বলেন, পূজার আয়োজকরা রেলকে মণ্ডপ সরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বারবার বলা সত্ত্বেও তারা তা সরিয়ে নেননি। উল্টো তারা সেখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। বারবার বিরত থাকতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি।
তিনি জানান, এমন পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করতে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, প্রথমে প্রায় শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার এবং সবশেষে অস্থায়ী মন্দিরটি সরানো হয়েছে। অস্থায়ী মন্দিরের প্রতিমা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
Comments