Image description

পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। বিশেষ করে বিএনপি ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল এপ্রিলকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ‘অনুপযুক্ত সময়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকাল নির্ধারণের যুক্তি তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার রাতে এক গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “এপ্রিলকে নির্বাচনের সময় নির্ধারণের পেছনে তিনটি মূল উদ্দেশ্য রয়েছে—সংস্কার, বিচার (ট্রায়াল) এবং নির্বাচন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সময় ও প্রস্তুতি প্রয়োজন।”

প্রেস সচিব জানান, সরকারের গঠনমূলক সংস্কার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। “১২ থেকে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তারা দ্রুততার সঙ্গে রিপোর্ট জমা দিচ্ছে। এই রিপোর্টগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলছে, যাতে সর্বজনগ্রাহ্য একটি কাঠামো দাঁড় করানো যায়।”

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিচার প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। “গত জুলাই-আগস্টে দেশে যে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা অভূতপূর্ব। এই সহিংসতায় চার-পাঁচ বছরের শিশু পর্যন্ত নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় বিচার অত্যন্ত জরুরি। তবে সেই বিচার হতে হবে স্বচ্ছ, ন্যায্য ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী।”

তৃতীয় দিকটি হলো নির্বাচন নিজেই। শফিকুল আলম বলেন, “নির্বাচন কেবল একটি দিনব্যাপী ইভেন্ট নয়; এর জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার কাঠামো প্রয়োজন। আমরা চাই, এই নির্বাচন হবে একেবারে ফ্রি, ফেয়ার ও বিশ্বাসযোগ্য।”

সব মিলিয়ে এপ্রিলের সময় নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘পরিপক্ব ও প্রয়োজননির্ভর’ বলে অভিহিত করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, “চিফ অ্যাডভাইজার এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য—সংস্কার, বিচার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি—সুনিশ্চিত করতে সময় দিয়েছেন এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”