
আমার এক ছেলে মাদরাসায় পড়ে। ১১ মাস বেতন নেই, ছেলের মাদরাসার খরচও দিতে পারছি না। যে হাতে ভাত খাই, সেই হাত দিয়েই মানুষের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করি। তবুও আমাদের ভাগ্যে এত দুর্দশা। দীর্ঘদিন আন্দোলন করেও কোনো সুরাহা হয়নি। এতদিন পর এসে এখন শুনছি চাকরিই নেই। এই বয়সে এসে অন্য কোথাও গিয়ে কাজ করব সেই সুযোগও নেই।
এ খবরে আমরা সকলে দিশেহারা হয়ে গেছি। এভাবে হতাশার কথা বলছিলেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত বিবি কুলসুম নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বিবি কুলসুমের মতো এমন একই গল্প হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা আরও ৫৩ জনের।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন ৫৩ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী রয়েছেন। ইতোপূর্বে সরকার থেকে তাদের জন্য ২১ হাজার ৫৫০ টাকা বেতন বরাদ্দ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেতন দিয়েছেন ৮ হাজার টাকা। তাও ছিল অনিয়মিত। পরবর্তীতে হাসপাতালের চাহিদা পূরণের জন্য আরও ২৯ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হলেও এদের কাউকেই বেতন-ভাতা দেয়নি ঠিকাদার। রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ১০/২০ টাকা করে নিয়ে কোনোরকমে দিনযাপন করছিলেন তারা। সবশেষ সোমবার (২ জুন) তাদের বকেয়া বেতন ও চাকরির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো বার্তা ও চাকরি না থাকার কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. কামরুজ্জামান বলেন, আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতদের বিষয়ে কোনো বরাদ্দ নেই। মন্ত্রণালয় থেকেও তাদের না নেওয়ার বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। বরাদ্দ না পেলে তো বেতন দেওয়া সম্ভব না।
Comments