
সম্প্রতি রাখাইনে মানবিক করিডোর, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ব্যবস্থাপনায় দেওয়া, আইএমএফ-এর ঋণের জন্য এনবিআর বিলুপ্ত করাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের আরও কিছু সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেট কতটুকু? সংস্কার ও নির্বাচনের বাইরে কী কী সিদ্ধান্ত নিতে পারে?
করিডোর ও বন্দর নিয়ে ইতোমধ্যে রাজপথে প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছে কিছু রাজনৈতিক দল। ‘বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে সভা করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়’, এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা-এর মতবিনিময় সভায় যায়নি বিএনপি।
এছাড়াও আলোচনায় আছে কাতারকে বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেওয়া। সেন্ট মার্টিন নিয়ে কী হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারের নিজস্ব ব্যাখ্যা থাকলেও নানা রাজনৈতিক দল এসব ব্যাখ্যা মানতে নারাজ।
এপ্রিলের শেষ দিকে প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরের সময় তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, কাতারকে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এজন্য কাতারকে আলাদা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের এইসব কাজের ম্যান্ডেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম মনে করেন, “এই সরকার চাইলেই সব কিছু করতে পারে না।”
অধ্যাপক আইনুল বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি মনে করেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার রুটিন ওয়ার্ক করে। তাদের প্রধান কাজ হলো নির্বাচন। এই সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতির সরকার—এটা আমরা সবাই জানি। তারপরও তাদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনায় একমত নন। তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, “প্রত্যেকটি বিষয়ে এই সরকারের ম্যান্ডেট আছে। আপনাকে বুঝতে হবে—এটা গণ-অভ্যুত্থানের সরকার। এটা আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নয়। প্রত্যেকটি বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেট আছে।”
চার ইস্যু নিয়ে বিতর্ক: রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকারের যে কয়টি সিদ্ধান্ত বা আলোচনাকে ঘিরে এখন বিরোধিতা তৈরি হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে—চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশিদের সম্পৃক্ততা, রাখাইনে মানবিক করিডোর, কাতারকে বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানা করতে আহ্বান এবং সেন্ট মার্টিন নিয়ে অস্বচ্ছতা।
তারা বলছেন, এই বিষয়গুলোর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। সরকার এসব বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছে না, যার ফলে সন্দেহ আরও বাড়ছে। একইসঙ্গে এই সরকার কতটুকু করতে পারে—সেই সীমানা সম্পর্কেও তাদের পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত।
প্রেস সচিব বলেন, “এই সরকার যখন এসেছে, তখন কি আপনারা কোথাও শুনেছেন যে তারা এসে শুধু এটা (নির্বাচন) করবে? হ্যাঁ, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা আমাদের সবচেয়ে বড় কাজগুলোর একটি। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যেকোনো সময় আমরা নির্বাচন করব। করে আমাদের কাজটা শেষ করে চলে যাব।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের এমন বক্তব্যকে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স “ঔদ্ধত্যপূর্ণ” বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “তিনি মনে করছেন, সবকিছু করা তার দায়িত্ব। আমি অনুরোধ করব তিনি যেন তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। কারণ যেসব কাজের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো করা তাদের দায়িত্ব নয়।”
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ডিডাব্লিউকে বলেন, “আসলে প্রফেসর ইউনূস একজন ব্যবসায়ী মানুষ। তিনি রাষ্ট্রকে নিয়ে ব্যবসা করতে চাইছেন। তিনি ক্রমান্বয়ে মূল কাজ থেকে সরে গিয়ে রাষ্ট্রকে বিপজ্জনক অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, যেটা তার করা উচিত নয়।”
তিনি বলেন, “তার যে কাজ সেটাই করা উচিত, সেটি হচ্ছে একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নেওয়া।”
বিনিয়োগের পরিবেশ বনাম বিনিয়োগকারীদের আস্থা: ঢাকায় বিনিয়োগ সম্মেলনের পর ১৩ মে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করতে ১৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা। সভায় ১৭টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যোগ দিলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি—বিজেপি অংশ নেয়নি।
আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও সভায় অংশ না নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তখন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা দেখছি ক্রমাগতভাবে দেশে বিনিয়োগ কমছে, শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমছে। কারণ, বিনিয়োগকারীরা নির্বাচন ও রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করছেন। এজন্য নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের প্রস্তুতির সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্য কিছু করে বিনিয়োগ বাড়ানো যাবে না।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করে বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগের নামে এক ধরনের সার্কাস চলছে। এতে বরং বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।”
সভায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি—সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এম আকাশ বলেন, “বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক সরকারের ধারাবাহিকতা জরুরি। বিনিয়োগকারীরা রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা চান। সেই নিশ্চয়তা না পেলে তারা বিনিয়োগ করতে চাইবেন না।”
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, “ঢাকায় বিনিয়োগ সম্মেলনের পর বিদেশি বিনিয়োগের একটা হাইপ তোলা হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দেশি ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগই কমছে। এর কারণ হচ্ছে এটা অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার ছাড়া আসলে কেউ এখানে বিনিয়োগ করতে চাইবে না। তারা নিরাপত্তাসহ আরও অনেক কিছু ভাববে, উদ্যোগ যত ভালোই হোক না কেন।”
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো উদ্যোগ নিতে চাইলে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি। “সেটা হলে কিছু আস্থার পরিবেশ তৈরি হবে,” বলেন আইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এই প্রতিবাদ আরও বাড়বে। এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সমালোচনার মুখে পড়বে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টস (বিওপি) পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাস—জুলাই থেকে মার্চে—এফডিআইয়ের (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) নিট প্রবাহ ছিল ৮৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের একই সময়ে নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ১১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের নয় মাসে এফডিআইয়ের নিট প্রবাহ কমেছে ২৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উইকলি সিলেকটেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাস—জুলাই থেকে মার্চে—মূলধনি যন্ত্র আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি বা আমদানি বাবদ অর্থ পরিশোধ হয়েছে ১৫২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ২১৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ মূলধনি যন্ত্র আমদানি কমেছে ২৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এটা অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ কমার ইঙ্গিত দেয়।
এ নিয়ে কথা বলতে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
‘বামরা বাংলাদেশকে বনসাই বানিয়ে রাখতে চান’
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে ১৪ মে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘যারা বন্দরের ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ, পৃথিবীর সেরা যারা, তাদের দিয়ে এই কাজ করাতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ যদি রাজি না হয়, জোরাজুরি নয়, রাজি করিয়েই করতে হবে। কারণ, এটা এমন এক বিষয়, পুরো জিনিস শুনলে রাজি না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’’
প্রধান উপদেষ্টার এই কথার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ আরও অনেক রাজনৈতিক দল বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার বিরোধিতা করছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে তারা কর্মসূচিও পালন করেছে। আরও বড় কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।
বাম জোটের শরিক দল সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “এই অনির্বাচিত সরকারের গণবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ম্যান্ডেট বা অধিকার নেই। করিডোর দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা যেসব উদ্যোগের কথা প্রচার করছে, সেগুলো জাতীয় স্বার্থবিরোধী। এসবের সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।”
তিনি বলেন, “আমরা বাম দলগুলো ইতোমধ্যে ওইসব উদ্যোগের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করেছি। আরও কর্মসূচি দেব। তারপরও সরকার যদি বিরত না হয়, তাহলে আমরা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম অভিমুখে লংমার্চসহ আরও শক্ত কর্মসূচি দিয়ে প্রতিহত করব।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “এই সরকার অন্তর্বর্তী সরকার। তারা অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য এসেছে। ফলে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—যাতে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত—সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাদের রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। তারা যে প্রস্তাব বা সিদ্ধান্তের কথা বলছেন, সেগুলো কেন বলছেন, কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, তার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ কী—এই বিষয়গুলো তো আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্ট করতে হবে। এককভাবে তারা তো এগুলো করতে পারেন না।”
জোনায়েদ সাকি মনে করেন, এই সরকারের ম্যান্ডেট হচ্ছে সংস্কার এবং জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন। এ জন্য একটি জাতীয় ঐক্য আছে।
তিনি বলেন, “সরকারের এমন কোনো কাজ করা ঠিক হবে না, তারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না যাতে এই ঐক্যে ফাটল ধরে বা বিভিন্ন অংশের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।”
তবে বাম দলগুলোর এই বিরোধিতার প্রতিক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাংলাদেশের যমুনা টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “বামদের দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড (প্রভাবিত) হলে বাংলাদেশে চাকরি হবে না। বাংলাদেশকে তাঁরা ডুয়ার্ফ (বামন) বানিয়ে রাখতে চান, বনসাই বানিয়ে রাখতে চান।”
ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, “এই সরকারের মূল ম্যান্ডেট হলো সংস্কার। প্রত্যেকটি বিষয় সংস্কারের মধ্যে পড়ে। আমরা বন্দরের বিষয়ে যে কাজ করছি, এটা বড় রকমের অর্থনৈতিক সংস্কার। এর ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।”
তিনি বলেন, “আমরা যে মানবিক চ্যানেলের (রাখাইনে মানবিক করিডোর) কথা বলছি, সেটাও একটা বড় সংস্কারের অংশ। কারণ, আপনি দেখেছেন—সাত বছর ধরে রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো ধরনের অগ্রগতি নেই। আমরা এক মিলিয়নের মতো রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারে রেখেছি। এটা তো একটি বড় মানবিক ইস্যু। এর একটা সমাধান খুঁজে বের করা তো বড় রকমের সংস্কার। আমরা তো এটা এড়িয়ে যেতে পারি না।”
সূত্র-ডয়চে ভেলে
Comments