Image description

প্রাতিষ্ঠানিক কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই বলে দাবি করে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে একজন কাজের ছেলে রেখেছেন বা একজন মেয়ে রেখেছেন। গরিব ঘরের সন্তানকে গ্যারেজে কাজ শেখানোর জন্য দিয়েছেন, পরে সে হয়তো পরিবারের হাল ধরবেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও শিশু শ্রমিক দেখা যায়- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম অনেক বিষয় আছে। এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ নিলেও অনেক সময় বন্ধ করা সম্ভব হয় না। প্রতিষ্ঠানিক কল-কারখানায় কোনো শিশু শ্রম নেই।’

এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন বাংলাদেশ রেটিফাই করেছে। এটি বাস্তবায়ন করার জন্য শতভাগ চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনের বিষয়টি একটু উচ্চাভিলাসী। আমরা বলছি, যত দ্রুত সম্ভব আমরা করব। এ বিষয়ে প্রকল্পের আওতায় আমরা এরই মধ্যে ১ লাখ ৯০ হাজার শিশুকে শ্রম থেকে সরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’

শিশুশ্রম নিরসনে মালিকদের সচেতন করা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস মালিকরা খুব দ্রুত এটা থেকে সরে আসবেন।’

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার প্রথম শ্রম সেক্টরে ঈদের আগে অন্যান্য বছর যেভাবে অরাজকতা হতো, সড়ক অবরোধ করতো সেটা হয়নি। আগে মালিক-শ্রমিক একটা বৈরি সম্পর্ক ছিল। আমরা এখানে কনফারেন্স রুমে বসে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যাগুলো টেবিলেই সমাধান করেছি। শ্রমিকদের পাওনা বেতন-বোনাস ছুটির আগেই তাদের দিতে সক্ষম হয়েছি।’

নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মালিকদের সমস্যা ছিল, সরকারের কাছে কিছু ইনসেনটিভ পাওনা ছিল, সেগুলো আমাদের প্রচেষ্টায় তাদের পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যার কারণে শ্রমিকদের পাওনা যথাযথ সময়ে দেওয়ার কারণে এবার শ্রমিকরা সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেছে।’

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি