Image description

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (মৎস্য অধিদপ্তর অংশ) শীর্ষক" প্রকল্পের কেন্দ্রীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সকল প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা হলে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায়। প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক পরিকল্পনা করে সে মোতাবেক কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং মাছ চাষের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পটি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে। 

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ বিধায় বাস্তবতা মেনে আমাদেরকে পলিসি প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে প্রকল্পটি দেশের আরো নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ করে দেশব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে মৎস্য সেক্টরের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে।

আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, জলজসম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির করে দরিদ্র জেলে ও মৎস্য চাষীদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। তিনি জলবায়ু সহনশীল ও উপযোগী মৎস্যচাষ পদ্ধতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষায়িত মৎস্যচাষ পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ ব্যবস্থাপনার প্রবর্তন, মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। 

সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।

বর্তমান সরকারের মৎস্য সেক্টরে সাফল্য বিশেষ করে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্ব, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগনের নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পুরণ এবং গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের অবদানের কথা তিনি এসময় উল্লেখ করেন। 

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।