Image description

আজ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বইমেলা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
 
এদিন সকাল ৮টায় মেলা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেলা ১১টায় মেলা শুরু হয়ে শেষ হতো রাত ৯টায়। সে হিসাবে ছুটির দিনে মেলা খোলা থাকে ১০ ঘণ্টা। অন্যান্য দিনে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা বইমেলা চলে। তবে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বইমেলা সকাল ৮টায় শুরু হয়ে একটানা ১৩ ঘণ্টা চলবে। সে হিসাবে বইমেলা দীর্ঘতম দিন আজ। 
 
গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৮টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। সভাপতিত্ব করবেন কবি জাহিদুল হক। বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৩। স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৩ শীর্ষক একুশে বক্তৃতা প্রদান করবেন রামেন্দু মজুমদার। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি 
 
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গতকাল মেলা শুরু হয় বেলা ৩টায়, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ১০০টি। বিকাল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নূরুননবী শান্ত। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বেলাল হোসেন এবং হোসেন আল মামুন। সভাপতিত্ব করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
 
প্রাবন্ধিক বলেন, ‘বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ শব্দের অর্থ এমন কিছু যা ‘স্পর্শ করা যায় না’, ধরা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়। তবে সেই অনুভব সর্বদা ইন্দ্রিয়জ হয় না। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ইন্দ্রিয়াতীত অনুভবের অস্তিত্ব আছে। বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভেদ-বৈষম্যের স্থান নেই। এর মধ্যে রয়েছে লোকশিক্ষা বিস্তারের শক্তিশালী উপাদান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সব সময়ের জানা-অজানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বাঙালি জাতির পরিচয় স্বাতন্ত্র্য বিশ্বময় মূর্ত করে তুলবে।
 
আলোচকবৃন্দ বলেন, আমাদের জাগতিক ও সামাজিক ভাবনায় বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অস্তিত্ব বিদ্যমান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচয় ছড়িয়ে পড়েছে বহির্বিশ্বে, অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তবে বাংলাদেশের বিপুল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। আর নির্দিষ্ট ঐতিহ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শিল্পী, কলাকুশলী, বাদ্যযন্ত্রশিল্পী সবার তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে। বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে দেশের অর্থনীতিকে হতে হবে সংস্কৃতিবান্ধব।
 
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বিমূর্ত ও মূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত। এসব ঐতিহ্য আমাদের লোকসৃষ্টি। বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষার প্রথম প্রদক্ষেপ হলো সেগুলোকে যথাযথভাবে শনাক্তকরণ।