Image description

প্রস্রাব করা একটি স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় কাজ। প্রস্রাব কম হলে এটি জ্বালাপোড়া, ইনফেকশন ইত্যাদি সমস্যার কারণ হতে পারে। কিডনি রক্ত ​​থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত পানি ফিল্টার করে প্রস্রাব তৈরি করে। তারপর প্রস্রাব মূত্রাশয়ে জমা হয়। মূত্রাশয় পূর্ণ হলে তা মস্তিষ্ককে সংকেত দেয়। প্রস্রাব করার সময় মূত্রাশয়ের পেশীগুলো সংকুচিত হয় এবং স্ফিঙ্কটার পেশী শিথিল হয়, যার ফলে প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে।

স্বাভাবিক প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি কত? প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি শরীর কীভাবে কাজ করছে এবং কোনো অন্তর্নিহিত সমস্যা আছে কি না তা নির্দেশ করতে পারে। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি গড়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬-৭ বার প্রস্রাব করেন। এমনকি যদি ব্যক্তি সুস্থ থাকেন তবে দিনে ৪ থেকে ১০ বার প্রস্রাব করাও স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। রাতে একাধিকবার প্রস্রাব করা স্বাস্থ্যকর না-ও হতে পারে। রাতে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়া কোনো সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।

কোন কারণগুলো প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সিকে প্রভাবিত করে: কিছু ওষুধ, হরমোনের পরিবর্তন এবং মূত্রাশয়ের উপর চাপের উপর ভিত্তি করে প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সিও পরিবর্তিত হতে পারে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে অস্থায়ী মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ সমস্যা সাধারণ। সাধারণত সন্তান জন্ম দেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত এটি উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি ধারণ করে। প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে-

* বয়স
* মূত্রাশয়ের আকার
* তরল গ্রহণ
* অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন গ্রহণ
* ডায়াবেটিস এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই) এর মতো চিকিৎসাগত অবস্থা
* কিছু ওষুধ এবং পরিপূরক।

কখন সাহায্য চাইতে হবে: যদিও প্রতিদিন চার থেকে দশবার বাথরুমে যাওয়া স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়, তবে এর থেকে বেশি বা কম হলে সতর্ক হওয়া উচিত। রাতে একাধিকবার প্রস্রাব করার জন্য ঘুম থেকে ওঠা (নকটুরিয়া) অন্তর্নিহিত কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। যদি আপনি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো লক্ষ্য করেন, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

* প্রস্রাব ধরে রাখতে অক্ষমতা
* ঘন ঘন বা জরুরিভাবে প্রস্রাব করার প্রয়োজন
* ঘোলাটে প্রস্রাব
* প্রস্রাবে রক্ত
* প্রস্রাবের আগে, সময় বা পরে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া
* প্রস্রাব শুরু করতে সমস্যা বা প্রস্রাব করার সময় দুর্বল প্রবাহ থাকা
* মূত্রাশয় খালি করতে সমস্যা।