
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তারকৃত মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এই দুই আসামির রিমান্ডের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করবে।
এদিন দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতয়ালী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এ সময় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে এদিন সকালে কেরানীগঞ্জ থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ নিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু, মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলাম।
এদের মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই আসামি সজীব ও ২০ জুলাই মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এছাড়া রিমান্ড শেষে রাজিব কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সি ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন।
তার হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশ অস্ত্র মামলা দায়ের করে।
আরআই/মানবকন্ঠ
Comments