Image description

বিতর্কিত নির্বাচনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৫টার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আদালতে তোলা হলে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা বলেন, "নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করার সুযোগ নেই।"

তিনি আরও বলেন, "মাননীয় আদালত, নির্বাচন কমিশন পাঁচটা লোক নিয়ে হয়। নির্বাচনের দায়িত্বে পুলিশ থাকে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা থাকেন। ঢাকায় বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নির্বাচন দেখার সুযোগ নেই। ফেয়ার আমি কীভাবে করবো? নির্বাচনের গেজেট হয়ে গেলে এর জুরিসডিকশন হাইকোর্টের। হাইকোর্ট যদি দেখে কোনো লোক দোষ করেছে, হাইকোর্ট শাস্তি দিতে পারে। নির্বাচন কমিশনের আইনগত ক্ষমতা নেই।"

এর আগে, রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নূরুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত নূরুল হুদাকে আটক করে জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

উল্লেখ্য, রোববার সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।