Image description

২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ধানমন্ডি থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হন লতা হারবালের মালিক আইয়ূব আলী ফাহিম। এই মামলায় এতোদিন জামিনে ছিলেন অভিযুক্ত আসামি। কিন্তু আওয়ামী সরকারের পতনের পর আর রেহাই পাননি তিনি। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নারী-শিশু ৬ নং আদালতে চার্জশীট গৃহীত হয়। এই মামলার এজাহারে তাকে অভিযুক্ত করে কারাগারে প্রেরণের নিদের্শ দেন ঢাকা জেলা দায়রা জর্জ কোর্ট।

বিশেষ সূত্রে জানা যায়, তিনি ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের দোসর। তাই অনেক দিন ধরা ছোয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। বিগত সরকারের আরও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন বলেও জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ আছে। এই মামলা যেন আলোর মুখ দেখতে না পায় এজন্য অভিযুক্ত আসামী ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন তদবির করে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।

ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসের ৩০ তারিখ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশু সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। এরপর ধারাবাহিকভাবে চার মাস বাসায় আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে একই কায়দায় ধর্ষণ করতেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী নারী। এত দিন তিনি পারিবারিক চাপে মুখ খুলতে সাহস পাননি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে থানায় মামলা করেন। ভুক্তভোগী নারী গ্রেপ্তার হওয়া আইয়ূব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে।

সূত্র মাধ্যমে আরো জানা যায়, গ্রেপ্তারের সময় আইয়ূব আলী ফাহিমের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ অস্ত্রের বৈধতা এবং গুলির হিসাবের বিষয়ে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

ভুক্তভোগী মামলায় আরও অভিযোগ করেন, অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণা করে রাখেন ফাহিম। ভয়ভীতি দেখান, যদি এই ঘটনা কাউকে বলা হয় তাহলে অনলাইনে ছেড়ে দেবেন। এরই মধ্যে তিনি ২০২২ সালের জুলাই মাসের ৫ তারিখ ফাহিমের বাসা থেকে পালিয়ে নিজের জীবন বাচাঁতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে দেশে রেখে যাওয়া তার শিশুপুত্রকে উদ্ধার করতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।