Image description

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র ও শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউতসহ ইন্ডিয়া জোটের একাধিক সাংসদকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পার্লামেন্ট ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের দিকে বিক্ষোভ মিছিলের সময় তাঁদের আটক করা হয়। ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ‘আঁতাত’ ও বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনী নিয়ে অভিযোগ তুলে এই প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল বিরোধী ইন্ডিয়া জোট।

ইন্ডিয়া জোটের অভিযোগ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার জালিয়াতি ও বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। মিছিলে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শারদ পাওয়ারসহ লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদরা অংশ নেন। তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই মিছিলের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেওয়া হয়নি।

দুপুর পৌনে একটার দিকে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে মিছিলটি। ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টাকালে রাহুল, প্রিয়াঙ্কাসহ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, মিতালি বাগসহ কয়েকজন সাংসদকে আটক করা হয়। আটকের সময় রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, “এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটি সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’-এর জন্য লড়াই।”

দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার দীপক পুরোহিত আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তবে কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা জানাননি। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ইভিএম নিয়ে মিথ্যা বলছে। এটি অরাজকতা সৃষ্টির কৌশল।” আটক নেতাদের নিকটবর্তী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নতুন শর্ত অনুযায়ী, বিহারে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড যথেষ্ট নয়। ভোটারদের জন্মসনদ, পাসপোর্ট, বন অধিকার সনদ বা সরকারি শিক্ষা সনদের মতো ১১টি প্রমাণপত্রের যেকোনো একটি জমা দিতে হবে। এই শর্ত নিয়েও ইন্ডিয়া জোটের আপত্তি রয়েছে।

এ ঘটনার জেরে পার্লামেন্ট ভবনের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এছাড়া, প্রতিবাদের কারণে উভয় পার্লামেন্ট অধিবেশন দুপুর ২টা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়।