মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় পুনরায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। জুনে ইরানে মার্কিন হামলার ফলে সৃষ্ট গুরুতর ক্ষতি নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প এই নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন।

গতকাল সোমবার রাতে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, "ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার ফলে ক্ষতি খুবই গুরুতর এবং স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। অবশ্যই, ঠিক যেমন আমি বলেছিলাম। প্রয়োজনে আমরা আবারও তা করব।"

ট্রাম্প সিএনএন-এর সমালোচনা করে বলেন, গত মাসে মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়নি বলে সিএনএন যে খবর প্রকাশ করেছে, তা ভুয়া। তিনি সিএনএনকে তাদের প্রতিবেদককে বরখাস্ত করতে এবং "ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ধ্বংসকারী মহান মার্কিন পাইলটদের" কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।

এর আগে সোমবার ফক্স নিউজের ব্রেট বেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্বীকার করেন, "আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে - গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে... যার পরিমাণ এখন আমাদের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা মূল্যায়ন করছে।"

তবে, আরাঘচি এও স্পষ্ট করে দেন যে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পরিত্যাগ করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের সমৃদ্ধকরণ ত্যাগ করতে পারি না। কারণ এটি আমাদের নিজস্ব বিজ্ঞানীদের একটি অর্জন এবং এখন এটি জাতীয় গর্বের প্রশ্ন।"

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য আসে গত শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের নতুন করে পারমাণবিক আলোচনার পর। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ওপর আকস্মিক হামলা চালানোর আগে ওমানের মধ্যস্থতায় তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা চলছিল। কিন্তু নির্ধারিত ষষ্ঠ দফা আলোচনার মাত্র দুই দিন আগে ইসরায়েলের হামলায় ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু হয়। এই সংঘাতে গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দিয়ে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি