
ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলে হুতি-নিয়ন্ত্রিত হোদেইদাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলায় রাস কান্টিব বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং দুই বছর আগে ছিনতাই হওয়া একটি জাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। গত প্রায় এক মাসের মধ্যে ইয়েমেনে এটিই ইসরায়েলের প্রথম হামলা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই হামলাকে ‘অপারেশন ব্যাক ফ্যাগ’-এর অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং হুতিদের তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য "চড়া মূল্য দিতে হবে" বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হামলার আগে আসন্ন বিমান হামলা নিয়ে সতর্কতা জারি করে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হুতি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম হোদেইদাহ বন্দরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। হামলায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছে হুতিদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ তার পোস্টে উল্লেখ করেন, "ইয়েমেন ও তেহরানের ভাগ্য এক।" তিনি আরও বলেন, "তাদের যে-ই ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে। কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তুললে সেই হাত কেটে ফেলা হবে।"
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হুতি বিদ্রোহীরা নিয়মিত ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে হুতিদের দ্বারা জব্দ করা বাণিজ্যিক জাহাজ গ্যালাক্সি লিডার। জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় সামুদ্রিক জাহাজের ওপর নজর রাখার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল। রাস কান্টিব বিদ্যুৎকেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়েছে, যা ইব ও তাইজ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করত।
হোদেইদাহ বন্দরটি লাখ লাখ ইয়েমেনির খাবার ও মানবিক সহায়তার প্রধান প্রবেশপথ। গত বছরও ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকবার সেখানে হামলা চালিয়েছে। তেল আবিব এই হামলাগুলোকে ইসরায়েল ও তার জনগণের ওপর হুতিদের "অব্যাহত আক্রমণের প্রতিক্রিয়া" হিসেবে দেখছে।
Comments