
পাকিস্তানের দুই রাজ্য পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ, আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১৭ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এবং ৪৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
পাঞ্জাব প্রভিন্সিয়াল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (পিডিএমএ) জানিয়েছে, ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া বর্ষণে ওকারা, খানেওয়াল, মুলতান ও মান্ডি বাহাউদ্দিনসহ ১৩টি জেলায় ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩৯ জন আহত হয়েছেন। ওকারা জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে; এখানকার ১২ জনের মধ্যে ৭ জনই এ জেলার বাসিন্দা, যার মধ্যে ২ শিশু ও ২ জন নারী রয়েছেন।
অনাদিকে ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত ও মালাকান্দ জেলায় ১১ জন মারা গেছেন এবং ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনকে।
পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডন জানিয়েছে, নিহত ১১ জনের মধ্যে ১০ জন সোয়াত জেলার এবং বাকি ১ জন মালাকান্দ জেলার। নিখোঁজ সবাই সোয়াতের বাসিন্দা।
গত তিন দিনের বৃষ্টিতে খাইবার পাখতুনখোয়া উপত্যকার সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে সোয়াত নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পিডিএমএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যায় সোয়াত নদীর আশপাশের ৫৬টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রায় ১৫০ জনের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগকেই শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যা সতর্কতা জারি না করা এবং উদ্ধারকাজে বিলম্বের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্য সচিব শাহাব আলী শাহ সোয়াত জেলার তিন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন।
Comments