
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র 'অ্যারো ইন্টারসেপ্টর'-এর সংকট। মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই ঘাটতি ইসরায়েলের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের সক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে যে, ওয়াশিংটন বেশ কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলের এই সক্ষমতা সংকট সম্পর্কে অবগত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষাপ্রণালী মোতায়েন করছে। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের গোলাবারুদ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এই প্রতিবেদন এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন গত রাতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ইসরায়েলের দিকে 'হাইপারসনিক' ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহ-১ নিক্ষেপের দাবি করেছে। আইআরজিসি'র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের শক্তিশালী ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল ভেঙে দেশটির আকাশের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছে। এই দাবির সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, গত কয়েক ঘণ্টায় তাদের বিমানবাহিনীর ৫০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরানের 'সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র' এবং 'বেশ কয়েকটি অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র' লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
সংঘাতের এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের সংকট ইসরায়েলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষত যখন ইরান তাদের উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা প্রদর্শনে সক্রিয়।
Comments