Image description

প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং অন্যান্য কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার (১৭ জুন) একদিনেই এয়ার ইন্ডিয়ার অন্তত ছয়টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া সবগুলো ফ্লাইটেই বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার (বোয়িং ৭৮৭-৮) ব্যবহারের কথা ছিল।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফ্লাইটগুলো হলো – দিল্লি-দুবাই (এআই ৯১৫), দিল্লি-ভিয়েনা (এআই ১৫৩), দিল্লি-প্যারিস (এআই ১৪৩), আহমেদাবাদ-লন্ডন (এআই ১৫৯), বেঙ্গালুরু-লন্ডন (এআই ১৩৩) এবং লন্ডন-অমৃতসর (এআই ১৭০)। এছাড়া এআই ৩১৫ নামের একটি দিল্লিগামী ড্রিমলাইনার কারিগরি সমস্যার কারণে হংকংয়ে ফিরে গেছে বলেও জানানো হয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "ফ্লাইট ছাড়ার আগে বাধ্যতামূলক কিছু পরীক্ষায় সমস্যা ধরা পড়ায় দিল্লি থেকে প্যারিসগামী ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে প্যারিস থেকে দিল্লিগামী ফিরতি ফ্লাইট, যা আগামীকাল বুধবার ছাড়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে।"

এ ঘটনায় যাত্রীদের ভোগান্তির জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "যাত্রীদের ভোগান্তির জন্য আমরা দুঃখিত। বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা তাঁদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করছি। এছাড়া যাত্রীরা যদি ফ্লাইট বাতিল করতে চান, তাহলে তাদের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিচ্ছি বা বিনা খরচে তারিখ পরিবর্তনের সুযোগ দিচ্ছি।"

এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লি-প্যারিসগামী ফ্লাইট বাতিলের কয়েক ঘণ্টা আগে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন অভিমুখী ফ্লাইটও বাতিল করা হয়। এর কারণ হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়া আকাশপথের ওপর বিধিনিষেধ এবং অতিরিক্ত সতর্কতামূলক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা জানিয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে সাম্প্রতিক একটি দুর্ঘটনার রেশ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাঁচ দিন আগে, গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ-লন্ডনমুখী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। সেই দুর্ঘটনায় একজন বাদে বিমানে সওয়ার ২৪১ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারান। এছাড়াও, আহমেদাবাদ শহরের যে এলাকায় বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখানে অবস্থানরত ৩৩ জনও এই দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। ড্রিমলাইনার নিয়ে এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলো এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ বহরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি করছে।