
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবারও এই ধারা অব্যাহত ছিল, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, আজ ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.২৩ ডলার বা ১.৭ শতাংশ বেড়ে ৭৪.৪৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম বেড়েছে ১.০৮ ডলার বা ১.৫ শতাংশ, যা ৭২.৮৫ ডলারে পৌঁছেছে। ট্রেডিং সেশনের শুরুতে উভয় চুক্তির দাম ২ শতাংশের বেশি বাড়লেও, পরে প্রতিযোগিতামূলক ট্রেডিংয়ে কিছুটা পতন দেখা যায়।
তেল সরবরাহে দৃশ্যমান কোনো বড় বাধা এখনো না এলেও, ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ইরান আংশিকভাবে গ্যাস উৎপাদন স্থগিত করেছে দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে। এছাড়াও, ইরানের শাহরান তেল ডিপোতেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
গত শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলো আক্রান্ত হওয়ার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম একলাফে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর এটিই ছিল এক দিনে তেলের দামে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দামও প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন। গোল্ডম্যান স্যাকসের মতে, বিশ্বের মোট তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই প্রণালিপথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। যদি এই প্রণালি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Comments