
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বর্তমানে কানাড সফরে আছেন। এ জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের কোনো সূচি এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে অবস্থানকালে কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ফিরে এলে এবং তার শিডিউল (সূচি) পাওয়া গেলে বৈঠক হতে পারে বলেও জানান প্রেস সচিব।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে একজন ব্রিটিশ এমপির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছিলেন শফিকুল আলম।
বুধবার বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে লন্ডনের ল ম্যাট্রিক সলিসিটর্সের পার্টনার ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দীন সুমন বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কানাডায় গেছেন বলে যে তথ্য শফিকুল আলম দিয়েছেন—তা সঠিক নয়। তিনি ব্রিটেনেই আছেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোনও কথা বলার আগে আরও বেশি দায়িত্বশীলতা দেখানো উচিত ছিল।
বিশেষ করে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উল্লেখযোগ্য কর্মীসহ বাংলাদেশ সরকারের একটি শক্তিশালী উইং সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে শফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাকে ম্যাসেঞ্জারে কল দিলেও উত্তর পাওয়া যায়নি। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেনকে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দীন সুমন বলেন, মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।
তিনি ডাউনিং স্ট্রিটে শিশু কিং, এলসি ডট স্ট্যানকম্ব এবং অ্যালিস আগিয়ার-এর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন, যেখানে তিনি সাউথপোর্টে একটি স্মৃতি উদ্যানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং এই প্রকল্পের জন্য সরকারি অর্থায়নের ঘোষণা দেন।
তিনি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোরের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন, যেখানে তারা ইসরায়েলি মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ন্যাটোর মিত্রদের জন্য সম্মিলিত প্রতিরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া তিনি সাইজওয়েল সি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৪ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও লন্ডন টেক উইক ২০২৫-এ এনভিআইডিআইএ-এর সিইও-এর সঙ্গে ইভেন্টটির উদ্বোধন করে বক্তব্য দেন।
Comments