
করোনা নামের ভাইরাস ছারখার করে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। মৃত্যু হয়েছে লাখ লাখ মানুষের। সেই আতঙ্ক এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই আমেরিকায় নতুন আশঙ্কার মেঘ। জৈবিক ছত্রাক ‘ফুসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম’ নিয়ে শুরু হলো উদ্বেগ। এটি করোনা প্রথম শনাক্ত হওয়া চীন থেকে আমেরিকায় পাচার করা হয়েছে!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ বলছে, চীন বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং দাবি করছেন, এই ছত্রাকের কারণে কোভিডের চেয়ে ‘ভয়াবহ’ কিছু অপেক্ষা করছে আমেরিকায়। প্রায় দুই দশক ধরে চীন ও হংকংয়ে কর্মরত গর্ডন। ‘চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার’ বইটির লেখক তিনি। আমেরিকা নিয়ে চীনের গতিবিধির বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন এই গর্ডন সম্প্রতি আমেরিকায় দুই চীনা গবেষক গ্রেপ্তার ইস্যুতে নতুন ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা করছেন।
বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের দায়ে সম্প্রতি আমেরিকায় গ্রেপ্তার করা হয় চীনের দুজনকে। তাদের কাছ থেকে যে ছত্রাক পাওয়া গেছে, তা চাষের খেতে প্রয়োগ করা হলে বিপুল মাত্রায় ফসলের ক্ষতি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি ‘বায়োলজিকাল ওয়েপন’, যার প্রয়োগে রীতিমতো খাদ্যসংকটের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব। জানা যায়, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চীনা নাগরিক ইউনকিং জিয়া এবং তাঁর প্রেমিক জুনইয়ং লিউয়ের কাছ পাওয়া যায় এই ছত্রাক।
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ছত্রাক নিয়ে কথা হচ্ছে, তা আসলে ‘বায়োলজিক্যাল প্যাথোজেন’। এই ছত্রাকের কারণে গম, বার্লি, ধান, ভুট্টার মতো ফসল নষ্ট হয়ে যায়। একটি দেশকে ‘ভাতে মারার’ জন্য এই ছত্রাককে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে পারে শত্রু দেশ।
এ নিয়ে চীন বিষয়ক আমেরিকান বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং ফক্স নিউজকে বলেন, ‘এটি বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো চীনের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করা। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা সত্যিই কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কেবল কোভিডের জন্য নয়, কেবল ফেন্টানাইলের জন্য নয়। সম্ভবত আরও খারাপ কিছুর জন্য।’
গর্ডন ওই সাক্ষাৎকারে আরও উল্লেখ করেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বদা যুদ্ধে যাওয়ার কথা ভাবেন। তিনি সমস্ত চীনা নাগরিক সমাজকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য একত্রিত করেন। গর্ডনের ভাষ্যমতে, ‘আমাদের দেশের (আমেরিকা) ক্ষতি হতে পারে। আমরা অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র হলেও সম্ভবত প্রয়োজনীয় শক্তি এবং দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে নিজেদেরকে রক্ষা করছি না।’
Comments