Image description

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দেশজুড়ে পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের (বিএলএফ) ১২ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। এসব সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর দুই সদস্যও শাহাদাত বরণ করেছেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) ডনের এক প্রতিবেদনে আইএসপিআরের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর দাবি করেছে, নিহত ১২ জন সন্ত্রাসী ‘ভারতীয় প্রক্সি’ হিসেবে কাজ করছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত শনি ও রবিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে (আইবিও) লক্কি মারওয়াত এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তানে এই অভিযানগুলো পরিচালিত হয়।

লক্কি মারওয়াত জেলায় পৃথক দুটি অভিযানে মোট সাতজন ‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ সন্ত্রাসীকে হত্যা করার দাবি করেছে আইএসপিআর। এর মধ্যে একটি অভিযানে পাঁচজন এবং অন্যটিতে দুইজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

এছাড়াও, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলি এলাকায় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালালে পাল্টা হামলায় আরও দুই ‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ সন্ত্রাসী নিহত হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, এসব সংঘর্ষে সিপাহি ফরহাদ আলী তুরি (২৯ বছর, কুরাম জেলার বাসিন্দা) এবং ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি (৩২ বছর, কোহাট জেলার বাসিন্দা) নামে দুই সেনা সদস্য বীরত্বের সাথে লড়াই করে শাহাদাত বরণ করেছেন।

এর আগে বেলুচিস্তানের আওরান জেলার গিশকুর এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানে তীব্র গোলাগুলিতে ‘ভারত-স্পন্সরড’ সন্ত্রাসী ইউনাস নিহত হয়। কেচ জেলার তুরবাত শহরে আরেকটি সংঘর্ষে আরও দুই ‘ভারতীয় মদদপুষ্ট’ সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী বেলুচিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি নস্যাৎ করার ‘ভারতীয় প্রক্সিদের’ যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে দেশটিতে জঙ্গি সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর এই প্রথম জঙ্গি হামলার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।