Image description

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৬৫ শতাংশ হলেন নারী, শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তি। প্রাণ হারিয়েছে ১৮ হাজারের বেশি শিশু। এ ছাড়া এ সময় ১২ হাজার ৪০০ নারীকে হত্যা করেছে দখলদাররা। সম্পূর্ণ মুছে দিয়েছে দুই হাজার ১৮০টি পরিবার। খবর আনাদোলুর।

সম্প্রতি গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৬৫ শতাংশই নারী, শিশু এবং বয়স্ক ফিলিস্তিনি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাঁচ হাজা ৭০টি পরিবার এখন শুধুমাত্র একজন অবশিষ্ট সদস্য নিয়ে বেঁচে আছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিকল্পিত আক্রমণ ... গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে এবং সত্যকে নীরব করার চেষ্টা করেছে। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ জন চিকিৎসা কর্মী, ২১২ জন সাংবাদিক এবং ৭৫০ জন সাহায্যকর্মী নিহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে ইসরায়েলি পাইলট এবং সামরিক ফাঁসের সাক্ষ্যসহ স্থলের তথ্য এবং অধিকার সংস্থাগুলোর দাবি করা ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক বাড়ি এবং আশেপাশে বোমা হামলার কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়,  ‘তথ্যগুলো কোনো সন্দেহ রাখে না যে গাজায় বেসামরিক লোকদের টার্গেট করা ইসরায়েলি দখলদারিত্বের গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের অপরাধ করার পরিকল্পনার মধ্যে একটি নিয়মতান্ত্রিক নীতি।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় পুনরায় আক্রমণ শুরু করার মাধ্যমে ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি ভেঙ্গে দেয়। ২০২৩ সাল থেকে উপত্যকায় চালানো হামলায় এ পর্যন্ত ৫২ হাজার ৩০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।