Image description

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে আবারও চালানো ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি এবং আহতের সংখ্যা অনির্দিষ্ট।

হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা। তবে হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ দাবি করেছে হামাসের মিডিয়া আউটলেট।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে রাতভর এ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় আবু তাহা নামের এক ব্যক্তির পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক প্রতিবেশী  শিশুটিকে আবু তাহার বাড়ির একটি বারান্দা থেকে উদ্ধার করেন। ওই শিশুই তার পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেশীরা জানায়, আবু তাহা একজন পারফিউম বিক্রেতা। তিনি কোনো রাজনৈতিক বা সশস্ত্র দলের সদস্য নন। তবুও কেনো হঠাৎ করে ইসরাইলি বাহিনী ওই বাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।

রাফাহতে এমন এক সময়ে এই হামলা চালানো হলো যখন ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য হামাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিসর। হামাস কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য মিশরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ যুদ্ধ অব্যাহত রাখার পরিকল্পনায় অনুমোদন করেছেন। কারণ ইতোমধ্যেই কট্টরপন্থী মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন যে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হলে তার সরকার ভেঙে পড়বে।

এ হামলার বিষয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরাইল। অভিযানের নামে সেখানে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরাইলি বাহিনী।

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু এবং ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।