Image description

সম্প্রতি চাকরি ছেড়েছেন ভারতের পুনের বাসিন্দা অনিকেত। চাকরি তো অনেকেই ছাড়েন, তবে তার পদত্যাগ ব্যতিক্রমী হয়ে আছে বিশেষ বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য। কারণ অনিকেত তার ‘টক্সিক’ চাকরি ছেড়েছেন রীতিমতো ঢোল-বাদ্য বাজিয়ে নাচতে নাচতে। আর সেই নাচ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছেন তার বস। 

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর অনীশ ভগতের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এ দৃশ্য দেখা যায়। অনীশ দাবি করেন, ‘আমি মনে করি আপনাদের অনেকেই এর সাথে নিজেকে মেলাতে পারবেন। আজকাল সর্বত্রই টক্সিক কাজের সংস্কৃতি। শ্রদ্ধা ও অধিকার না দেয়াটা বেশ সাধারণ বিষয়।’ 

অনীশ ভগত দাবি করেন, ‘ভীষণ টক্সিক’ কর্মপরিবেশের কারণে তিন বছরের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন অনিকেত। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক ভিডিওতে অনিকেত বলেছেন, তার বেতন বাড়ানো হতো খুবই কম, আর বসের কাছ থেকে কোনো সম্মান পেতেন না। ‘মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায়’ নিজেকে ওই অবস্থায় আটকা পড়া বলে মনে করতেন অনিকেত। 

অনিকেতের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে চাকরির শেষদিনে অনিকেতের বন্ধুদের সঙ্গে মিলে একটি সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করেন অনীশ। সঙ্গে করে ঢোল নিয়ে আসেন তারা। তারপর ম্যানেজারের বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন। ম্যানেজার বাইরে আসতেই অনিকেত তার সঙ্গে করমর্দন করে বলেন, ‘স্যরি স্যার; বাই-বাই’। এরপর ঢোলের তালে তালে নাচতে থাকেন অনিকেত। তার ম্যানেজার চোখে-মুখে বিরক্তি নিয়ে ভিডিও বন্ধ করার চেষ্টা করেন।

অনীশ ভগত বলেন, ম্যানেজার ভীষণ বিরক্ত হয়ে ‘মানুষকে ধাক্কা মারতে শুরু করেন’। এরপর তিনি বলেন, ‘এখন আমি জানি (অনিকেত) কেন চাকরি ছেড়েছে।’ পরে ওইদিনই মন্দিরে যায় দলটি। আর সন্ধ্যায় অনীশ ও অনিকেতের বন্ধুরা তার জন্য সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করেন। তাকে একটি কেক উপহার উপহার দেন। আর দেন কিছু পোস্টার, ওগুলোতে লেখা ছিল: ‘আত্মনির্ভর ভারত’। 

অনীশ জানান, অনিকেত এখন ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করবেন। অনিকেত তার পরের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রস্তুত। আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। হরপ্পা ইনসাইটের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, কর্মীদের চাকরি ছাড়ার অন্যতম কারণ ছিল ‘টক্সিক বস’ ও ‘টক্সিক কর্মপরিবেশ’। প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, ৫৮ শতাংশ কর্মী টক্সিক বসের কারণে চাকরি ছেড়েছেন, আর ৫৪ শতাংশ কর্মী চাকরি ছেড়েছেন টক্সিক কর্মপরিবেশের কারণে।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি