Image description

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা এবং বজ্রপাতে ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কৃষক মাঠে ফসল রোপন করতে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে নিহত হয়েছে। 

বিবিসি তার প্রতিবেদকনে জানায়, বন্যার কারণে ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়া রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ার ফলে চলাচলও করা যাচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানের তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে দেশটি বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ছে।

২০২২ সালে পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ বন্যার পানিতে ডুবে যায়। এতে ১ হাজার ৭০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। এছাড়া বহু মানুষ মাসের পর মাস সুপেয় পানির অভাবে ভুগে।

২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খাইবার পাকতুনখাওয়া এবং বেলুচিস্তানে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এসব অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে। এজন্য ভূমিধস এবং আরও অধিক বন্যার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

এএফপি নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান গণবসতিপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ প্রদেশে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত চলা বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। পরিস্থিতির খারাপ হওয়ায় সোমবার ও মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উপকূলীয় শহর পাসনি এবং বালোচে বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে। পাসনির শহরের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ কালমাতি সংবাদমাধ্যম ডনকে বলেন, বৃষ্টির পানিতে পুরো শহরকে লেক মনে হচ্ছে। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবনে পানি ঢুকে পড়েছে।

সূত্র: বিবিসি

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি