Image description

আর্জেন্টিনার রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে টালমাটাল অর্থনীতির গতি ফেরাতে ৭০ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেই। সেই সঙ্গে সরকারের চলমান সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি থেকে ২০ হাজার কর্মসূচি শিগগিরই বন্ধ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

চাকরি ছাঁটাই ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি বন্ধের পক্ষে যুক্তি হাজির করে তিনি বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে আর্জেন্টিনার অর্থনীতির ন্যূনতম ভারসাম্য ফেরানোর লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে এই ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সরকারি সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচির বেশিরভাগই বর্তমানে ‘চরম দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আমেরিকা মহাদেশভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইন্টরন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরাম অব আমেরিকাসের (আইইএফএ) লাতিন বিভাগের সম্মেলন শুরু হয়েছে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স এইরেসে। 

বুধবার (২৭ মার্চ) সেই সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে এসব তথ্য জানিয়েছেন মিলেই।

‘বিগত সরকারগুলোর খামখেয়ালি ও স্বেচ্ছাচারী নীতির কারণে আজ আর্জেন্টিনা এই অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। অর্থনীতি পুনর্গঠনের স্বার্থে আমাদের কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে,’ ভাষণে বলেন মিলেই।

প্রসঙ্গত, আর্জেন্টিনার সরকারি প্রশাসনে চাকরিরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা বর্তমানে ৩৫ লাখ। তাদের মধ্যে থেকে ৭০ হাজার জন খুব বড় কোনো সংখ্যা নয়। তবে কর্মী ছাঁটাই ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হলে তা মিলেই’র ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন আর্জেন্টিনার রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

তার আলামতও পাওয়া গেছে ইতোমধ্যেই। বুধবার মিলেই’র ভাষণ শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই টানা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশ ট্রেড ইউনিয়ন।

সূত্র : ব্লুমবার্গ

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি