
মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাসের ফেসবুকে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। আগুনে পুড়ে যাওয়া হায়দার আলী ভবনের শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাস নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ভুল তথ্য ছড়াবেন না।’ সেই সঙ্গে লাশ গুমের বিষয়টি গুজব উল্লেখ করে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। পূর্ণিমা দাসের সেই পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
তবে পোস্টটি শেয়ার করার পর নেটিজেনদের একের পর এক বিরুপ মন্তব্যে শেষ পর্যন্ত সেটি মুছে ফেলেছেন এ অভিনেত্রী।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাস নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ভুল তথ্য ছড়াবেন না।’ লাশ নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন সেই শিক্ষিকা। সেই পোস্ট শেয়ার করেছেন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও।
অভিনেত্রী তিশাকেও শেয়ার করতে দেখা যায় পোস্টটি। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পোস্টটি ডিলিট করে দেন তিনি। এর আগে একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যায় অভিনেত্রীর সেই পোস্টে। ধারনা করা হচ্ছে, নেতিবাচক কমেন্টের কারণেই পোস্টটি ডিলিট করেছেন তিশা।
অন্যদিকে পূর্ণিমা দাসের সেই পোস্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আরেক অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। পূর্ণিমা দাসের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না সাদিয়া আয়মান। বরং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর মতে, পূর্ণিমা দাসের স্ট্যাটাসটি ঘটনার সঙ্গে মিলছে না। বরং সন্দেহের সৃষ্টি করছে।
অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার বাইরে গিয়ে তথ্য তুলে ধরায় সেই পোস্টে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সাদিয়া আয়মান। দায়িত্বরতদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সাদিয়া আয়মান প্রশ্ন তোলেন যে, এখনো অনেক পরিবার তাদের সন্তানের সন্ধান পাচ্ছে না, সেগুলোর হদিস কে দেবে? লাশ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া শিক্ষক বা স্কুলের দায়িত্ব না, এটা যাদের দায়িত্ব তাদের কর্মকাণ্ডই বেশ সন্দিহান বলে মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। সাদিয়া আয়মানের সেই পোস্টটিও ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসে।
Comments