Image description

এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে ছয়টি সিনেমা—‘তাণ্ডব’, ‘ইনসাফ’, ‘টগর’, ‘উৎসব’, ‘নীলচক্র’ ও ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। প্রতিটি সিনেমাই কমবেশি দর্শক টানছে। তারকারাও হলে হলে যাচ্ছেন, দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা দেখছেন, কথা বলছেন। সব মিলিয়ে ঢালিউডে এবার ঈদের উৎসব জমে গেছে।

ভিন্ন স্বাদের গল্প ছাড়াও এবারের ঈদের সিনেমার অন্যতম আকর্ষণীয় দিক—এক বড় তারকার সিনেমায় আরেক বড় তারকার উপস্থিতি। শাকিব খানের তাণ্ডবে অতিথি চরিত্র হয়ে চমক দেখিয়েছেন আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদ। অন্যদিকে শরিফুল রাজ-ফারিণ-মোশাররফ করিমের ইনসাফে একঝলক দেখা দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। এই নয়া প্রবণতা ঢাকাই সিনেমায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। দর্শকও শিস বাজিয়ে, হাততালি দিয়ে উপভোগ করছেন বিষয়টি। এ দুই সিনেমার নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিকুয়েল আসবে তাণ্ডব ও ইনসাফের।

শাকিব খানের তাণ্ডব সিনেমার পরের পর্ব যে তৈরি হতে যাচ্ছে, সেটার ইঙ্গিত সিনেমাতেই দেওয়া আছে। গল্প বলা হয়েছে সেভাবেই। সিনেমা শেষ হতেই স্ক্রিনে লেখা ভেসে ওঠে—তাণ্ডব টু লোডিং। ফলে কারও আর বুঝে নিতে বাকি থাকে না, আরও একবার তাণ্ডবের চরিত্র হয়ে দেখা দেবেন শাকিব।

দ্বিতীয় পর্বে কি আফরান নিশো, সিয়াম আহমেদ থাকবেন? পরিচালক রায়হান রাফী অবশ্য এখনই পুরোটা খোলাসা করতে চাইছেন না। তবে তিনি ধারণা দিয়েছেন, হলিউড-বলিউডে যেমন নির্দিষ্ট ঘরানার সিনেমা নিয়ে ‘ইউনিভার্স’ তৈরি হয়, তাণ্ডব টুতে তেমন একটা কিছু হতে চলেছে।

সিনেমা হল ভিজিটে গিয়ে রায়হান রাফী বলেন, ‘আমরা সিনেমার শেষে একটা মেসেজ দিয়ে দিয়েছি, তাণ্ডব টু লোডিং। যেহেতু কয়েক দিন হলো মুক্তি পেয়েছে, তাই আমরা ডিরেক্ট স্টেটমেন্ট দিতে চাই না। আর কিছুদিন পর আমরা অফিশিয়ালি বলব। সত্যি বলতে, যে রেসপন্স দেখলাম, এ রকম রেসপন্স আমি কখনো দেখিনি সিনেপ্লেক্সে। এটা শুধু সিঙ্গেল স্ক্রিনে দেখা যায়। এ সিনেমায় শেষের দিকে এমন ঘটনা আছে, যেকোনো দর্শকের মাথা ঘোরাবে। তাণ্ডবে আমরা যেটা ঘটিয়েছি, সেটা বাংলাদেশে আগে হয়নি। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও এটা হয়নি। এটাকে আমাদের সেলিব্রেট করা উচিত। আর যে ইউনিভার্সের কথা আমরা বলছি, সামনে সেটা নিয়ে আরও বিস্তারিত বলব।’

নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারের ইনসাফও এবার পছন্দ করছেন দর্শক। শরিফুল রাজ ও ফারিণের পাশাপাশি এ সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে ধরা দিয়েছেন মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী। পর্দায় তাঁদের উপস্থিতি কম হলেও সঞ্জয় সমদ্দার আশ্বস্ত করেছেন, ইনসাফের দ্বিতীয় পর্বে তাঁদের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে।

নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, ‘মোশাররফ করিমের মতো একজন অভিনেতাকে পাওয়া আমাদের জন্য আশীর্বাদ। শেষ মুহূর্তে চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি দেখে হলে তুমুল করতালি দেখেছি। এ দুজনকে সিনেমায় ইনকরপোরেট করার পেছনে বড় পরিকল্পনা আছে। আমরা ইনসাফ ২-এর পরিকল্পনা করছি। আরও বড় প্ল্যানে এগোচ্ছি। সিনেমায় মোশাররফ, চঞ্চলের যে আলাদা লুক, সেটারও নির্দিষ্ট কারণ আছে। আমরা বড় প্ল্যানে এগোচ্ছি বলেই তাঁদের আলাদা আলাদা লুকে, আলাদা আঙ্গিকে প্রেজেন্ট করেছি।’