Image description

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের কাজ হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতিকে ফেসিলিটেড করা, অর্থ্যাৎ সহযোগিতার মাধ্যমে জনগনের কাছে নিয়ে যাওয়া। কিন্তুু বিগত দিনে জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে কিছু লুটেরাদের হাতে তুলে দিয়েছিলো অর্থনীতিকে। এই লুটেরারেরা ব্যাংক লুট করেছে, শেয়ার বাজার লুট করেছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, বাংলাদেশে যত মেগা প্রজেক্ট সেগুলোর মাধ্যমে লুট করেছে। 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার রেখে যাওয়া মুক্ত বাজার অর্থনীতি থেকে সরে নিয়ে তারা কিছু লোক অর্থনীতিকে কুক্ষিগত করেছে। সাথে সাথে রাজনীতিকেও কুক্ষিগত করেছে। কারন অর্তনৈতিক শক্তি যার কাছে, রাজনৈতিক শক্তিও তার কাছে। এজন্য জিয়াউর রহমান অর্থনীতিকে গণতান্ত্রয়ানের কথা বলেছেন। শুধু রাজনীতিতে গণতান্ত্রয়ায়ন আনলে মানুষের মুক্তি হবে না। শুধু রাজনৈতিক গণতান্ত্রয়ায়নের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে না। অর্থনৈতিক গণতান্ত্রয়ায়ন করতে হবে। অর্থনীতিতে গণতন্ত্র আনতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অংশগ্রহন করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে নীতিমালার মাধ্যমে।

বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর একটি হোটেলে ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক বিভাগীয় ব্যবসায়ী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনীতিতে যেমন মুক্ত রাজনীতির সুযোগের কথা ভাবছেন, তেমনি অর্থনীতিতে মুক্ত অর্থনীতির সুযোগের কথা ভাবছেন। অর্থনীতিকে গণতান্ত্রয়ান করার কথা ভাবছেন। অর্থনীতিতে ব্যুরোক্রেসি ও দখলদারি কোনটায় চলবে না। অর্থনীতিকে মুক্ত রাখতে হবে। বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ যেন এর সুবিধা পায়। সাধারণ পরিবারের কোন ছেলে-মেয়ে যদি ব্যবসা করতে চায়, তাদের জন্যও সমান সুযোগ থাকবে। অর্থনীতিক গণতান্ত্রিক অর্থ হলো প্রত্যেকটা নাগরিকের ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য লেভেল ফিল্ড। 

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দৌরাত্মে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যে কষ্টের সম্মুক্ষিণ হয় সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশ এগুবে। অর্থনীতির চালিকাশক্তি হলো ব্যবসায়ীরা।

ময়মনসিংহ বিভাগ ব্যবসায়ী সম্মেলনের সমন্বয়ক মনসুর আলম চন্দনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার চেম্বার এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এমরান সারেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।