লবণযুক্ত চামড়া বেশীদিন রাখলে ভাল মূল্য পাওয়া যাবে: বানিজ্য উপদেষ্টা

বানিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বর্তমান সরকার চামড়া শিল্পকে রক্ষায় যতগুলো পদক্ষেপ গ্রহন করেছে, অতীতের কোন সরকার তা গ্রহন করেনি। আমরা চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সচেতনতা সৃষ্টিতে পোষ্টার, লিফলেট বিতরণ করেছি। এ শিল্পের সাথে জড়িত ৮৬ হাজার কসাইকে প্রশিক্ষন প্রদান করেছি। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার মুল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। লবণযুক্ত চামড়া বেশীদিন রাখলে ভাল মূল্য পাওয়া যাবে। যারা সরকারি নিয়ম মেনে চামড়া লবণ দিয়ে রেখেছে তারা চামড়ার ভাল মূল্য পাবে। বিভিন্ন মাদ্রসায় যেসব চামড়া রাখা হয়েছে তাও ভাল মূল্যে বিক্রি হবে।
মঙ্গলবার বিকালে জয়পুরহাট শহরের আরাফাতনগর এলাকায় চামড়ার আড়ত পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চামড়া শিল্পে এতিমখানা ও মাদরাসাগুলোর যাতে স্বার্থ রক্ষা হয়, সে ব্যাপারে সরকার কাজ করছে। সবাই যাতে চামড়ার সঠিক মূল্য পেতে পারে সেজন্য সারাদেশে সাড়ে ৭ লাখ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সরকার লবণ-ছাড়া চামড়ার দাম নির্ধারণ করে না। অনেক মাদরাসা লবণ ছাড়া চামড়া দিয়েছে। অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীর এ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তারা চামড়ার কাঙ্খিত দাম পাননি। ১৫ বছর ধরে চামড়া শিল্পের যে অধঃপতন হয়েছে, যে নৈরাজ্য সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা এতো দ্রুত ভাঙ্গা সম্ভব নয়। তবে চামড়া শিল্পে এই সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার কাজ করছে। সবকিছু সরকারের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। কন্ট্রোল টিমও কাজ করছে। বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে বহির্বিশ্বে চামড়া শিল্পের চাহিদা তৈরি হবে।
বানিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বর্তমানে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে কড়া প্রহড়ায় বয়েছে। সে কারনে বাংলাদেশ থেকে চামড়া পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের কোন আশংকা নেই। তিনি আরাফাতনগর চামড়া আড়ত পরিদর্শন শেষে জামালপুর এলাকায় আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মারকাজুল উলুম মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
চামড়া আড়ত পরিদর্শনের সময় বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার চৌধুরী, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামসহ প্রশাসনের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
Comments