
দেশের শেয়ার বাজারে টানা দরপতন নিয়ে হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। ভালো, মন্দ সব ধরনের শেয়াররেরই ব্যাপক দরপতনে বিনিয়োগকারীদের পীঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পাঁচ কার্যদিবসেই সূচক কমেছে। এর আগের সপ্তাহেও একই চিত্র। ঢালাও এ দরপতনে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি।
টানা এ দরপতন প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, বর্তমান কমিশন চায়, বাজার বাজারের মতো চলুক। এখানে সূচক কমছে, কিংবা বাড়ছে, এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি বলেন, বিএসইসি বাজারের উন্নয়নে টাস্কফোর্স করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে টাস্কফোর্স গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাদের পুরো প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
সাপ্তাহিক লেনদেনচিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেনকৃত মোট ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫৭টির, কমেছে ৩২৪টির। আর দর অপরিবর্তত রয়েছে ১৫টির। এ হিসেবে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদরই কমেছে। ফলে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বা ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এর আগের দুই সপ্তাহেও ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। আর তার আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। এতে ঈদের পর লেনদেন হওয়া মাত্র তিন সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকেরও বড় পতন হয়েছে।
Comments