
কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) এর পাহাড় থেকে গাছ কেটে চুরি করার সময় চারজনকে হাতেনাতে আটক করেছে নিরাপত্তা কর্মীরা। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বড়উঠান ইউনিয়নের কেইপিজেড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতদের শিল্প পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: মো. দিদারুল আলম (৩০), শিকলবাহা ইউনিয়ন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড; জলিল (৩৮), বড়উঠান ইউনিয়ন, দৌলতপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড; মো. ইসমাইল (৩৫), একই এলাকা; এবং মো. তারেক (২২), শাহমীরপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ড। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি নসিমন ভ্যানগাড়ি, আকাশমনি গাছের খণ্ড, গাছ কাটার করাত, এবং দুটি লোহার হাতলযুক্ত হাসুয়া জব্দ করেছে।
কোরিয়ান ইপিজেড শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সওকত হোসেন জানান, “প্রাথমিক তদন্তে আসামীদের চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা এলাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।” মঙ্গলবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ।
কেইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, ২৪৯২ একরের এই অঞ্চলের ৫২ শতাংশ জমি সবুজ ও উন্মুক্ত রাখার শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮২২ একর জমিতে ২৫ লাখ গাছ রোপণ করা হয়েছে, এবং বাকি ৪৭৮ একর জমি লেক ও সবুজ মাঠ হিসেবে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তবে, চোরচক্র প্রায়ই এসব গাছ কেটে নিয়ে যায়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো. ইসমাইলের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ইসমাইল একটি সিন্ডিকেটের মূলহোতা, যার বাহিনী এলাকায় বাড়ি নির্মাণ, জমি ক্রয়-বিক্রয়, এমনকি দোকান উদ্বোধনে টাকা দাবি করে। তার গ্রেপ্তারে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
চোরচক্রের সদস্যরা নিরাপত্তাকর্মীদের সহযোগিতায় কাটা গাছ মূল ফটক দিয়ে বের করে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেইপিজেডের সিকিউরিটি ইনচার্জ সৈয়দুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
Comments