Image description

বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ, নামাজের ব্যবস্থাসহ মোট ২১ দফা দাবিতে পাটগ্রাম উপজেলার মির্জারকোট হাজী মহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা সব ক্লাস বর্জন করে স্কুলের মাঠে শ্লোগান দিয়ে অবস্থান করে। 

শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২১ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে- বিদ্যালয়ে পুণরায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া, শিক্ষার মানোন্নয়নে নিশ্চিতে পদেক্ষেপ গ্রহণ, সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদেরকে বই প্রদান, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও পানির ব্যবস্থা করা, বিদ্যালয় মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, বিদ্যালয় পরিচালানায় দক্ষ পরিচালনা কমিটি গঠন, নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক ক্লাস সময়মত করা, প্রতিবছর অভিভাবক সমাবেশ করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা, কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা, শ্রেণিপাঠের সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, প্রাচীর (বাউন্ডারী) ও প্রধান ফটক নির্মাণ, প্রতিমাসে ক্লাস পরীক্ষা, নামাজের ব্যবস্থা করা, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা যথানিয়মে নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা প্রভৃতি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘বিদ্যালয়ে বহুদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নাই। কেনো নাই, বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা কোথায়? কেনো বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়নি। আমরা শুনেছি রিজার্ভ ফান্ডের ৬ লাখ টাকা নাকি নাই। এ টাকা গেল কোথায়। আমরা জবাব চাই।’ 

অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা বিভিন্ন সময়ে বার বার জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর জন্য প্রধান শিক্ষকই দায়ী। প্রত্যেকটি বিষয়ে তিনি শুরু থেকে অবহেলা করেছেন। এসময় প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানান তারা। বিদ্যালয় প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় তিনি বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে চলে যান। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক একাব্বর আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি খুব প্রয়োজনীয় দাবি। শিক্ষার মানোন্নয়ন ফিরিয়ে আনা দরকার, এটা উপলব্দি করেছি।’  

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মির্জারকোট হাজী মহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘ক্লাস বর্জনের ঘটনা জেনে আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে আগামী তিনদিনের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি।’