Image description

মাদারীপুরের কালকিনিতে চেতনানাশক দিয়ে অচেতন করে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এদিকে এই ঘটনা কাউকে জানালে পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ঐ শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

মাদারীপুরের কালকিনিতে চেতনানাশক দিয়ে অচেতন করে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে এই ঘটনা কাউকে জানালে পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ঐ শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আক্কেল শিকদারের ছেলে সোহাগ শিকদার নিজ ঘরে ডেকে নেয় প্রতিবেশী ৮ বছরের শিশু মেয়েটিকে। পরে শিশুটির নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সোহাগের বিরুদ্ধে। তিন ঘণ্টা পর শিশুটির জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পরে বাড়িতে চলে আসে নির্যাতিতা।

গতকাল রবিবার দুপুরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে শিশুটিকে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিতা শিশুটির মা বলেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ করতে চাই না। তাহলে সোহাগ ও তার লোকজন আমাদের মেরে ফেলবে। আমরা খুব ভয়ে আছি। এ ঘটনার বিচার পাব কিনা তাও জানি না।"

শিশুটি জানায়, ‘ঘরে ডেকে নিয়ে মুহূর্তেই তাকে অচেতন করে সোহাগ শিকদার। পরে ধর্ষণ করে তাকে। ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর প্রচণ্ড ব্যথা আর যন্ত্রণা হলে মায়ের কাছে বিষয়টি জানাই।’

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিহাব চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। গাইনি চিকিৎসকের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল টিম গঠন করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, 'ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির সঙ্গে কথা বললে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী চাইলে অবশ্যই মামলা নেয়া হবে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। আর নির্যাতিতার পরিবারকে কেউ হুমকি দিলে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে।’