Image description

রংপুরের মিঠাপুকুরে সমাজ সেবা কার্যালয়ের দুই ইউনিয়ন সমাজকর্মীকে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সমাজকর্মী হলেন, মির্জাপুর ইউনিয়নের মোর্শেদুজ্জামান এবং হযরতপুর ইউনিয়নের তৌহিদুল ইসলাম। অভিযোগকারী রিক্তা বেগম (৪২), উপজেলার ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি-সদস্য।

ভুক্তভোগী সমাজকর্মীরা জানান, অভিযোগকারী ইউপি- সদস্য রিক্তা বেগম, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় বিভিন্ন কাজ নিয়ে ইউনিয়ন সমাজকর্মী মোর্শেদুজ্জামানের কাছে আসতেন। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতার সহ বিভিন্ন বিষয়ে তদবির করতেন। কিন্তু রিক্তা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকজন অনৈতিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ তোলায় সমাজকর্মী মোর্শেদুজ্জামান, তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতেই ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন রিক্তা বেগম। 

ঘটনার দিন গত- (১৪ আগষ্ট) রিক্তা বেগম, আকস্মিক হযরতপুর ইউনিয়নের সমাজকর্মী তৌহিদুল ইসলামকে, সাথে নিয়ে মোর্শেদুজ্জামানের শহরের ভাড়া বাসায় উপস্থিত হন। তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রিক্তা আপার বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি কাজ আছে, এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে যাওয়ার পূর্বে আপনার বাসায় চা খেতে আসলাম। এসময় মোর্শেদুজ্জামান বলেন, আপনার ভাবি তো বাসায় নেই, ডাক্তার দেখাতে সৈয়দপুর গিয়েছে। আমি চা বানাতে পারিনা, আপনারা পারলে নিজে চা তৈরি করে খেয়ে যান।

বাসা থেকে উভয়ে চা খেয়ে চলে যাওয়ার পরদিন বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে রিক্তা বেগম, মোর্শেদুজ্জামানকে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে অনৈতিক লেনদেনের প্রস্তাব দেন। এতে মোর্শেদুজ্জামান, রাজি নাহলে রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো- থানায় ধর্ষণ চেষ্টার একটি অভিযোগ দেন। মোর্শেদুজ্জামান বলেন, রিক্তা আপোষ মিমাংসার নামে আমার কাছে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি কোনো অপরাধ করিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, রিক্তা বেগম, একজন সাবেক আওয়ামী লীগের দোসর এবং মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী। পতিত সরকারের আমলে ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং নারীকে দিয়ে তিনি মামলা বানিজ্য করতেন। এবার যে অভিযোগ তুলেছেন, তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক আর মিথ্যা বলে মনে হচ্ছে। 

মিঠাপুকুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, এবিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এমন অভিযোগ অনাকাঙ্ক্ষিত। তার পরেও বিষয়টি আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে, রিক্তা বেগমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রংপুর কোতোয়ালী (আরএমপি) থানার ওসি,আতাউর রহমান বলেন, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।