শ্রীমঙ্গলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে যুবককে কুপিয়ে জখম, পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম করার ঘটনাকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। গত ১৭ আগস্ট শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে জানাউড়া গ্রামের মৃত মনা মিয়ার ছেলে ওয়াহিদ মিয়া অভিযোগ করেন, একই গ্রামের ছোয়াব উল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ গংদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে জামিনে থাকলেও তিনি এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন আব্দুল্লাহ। লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, ওয়াহিদ মিয়া তার ও তার আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
আব্দুল্লাহ বলেন, খলিলপুর মৌজায় এসএ রেকর্ডীয় মালিক আনজব উল্লাহর নিকট থেকে ধারাবাহিক বিক্রয়ের মাধ্যমে তার পূর্বপুরুষরা ২১ শতক জমি এবং ষাড়েরগজ মৌজা থেকে আরও ২৩ শতক জমি ক্রয় করেন। এই ৪৪ শতক জমিতে তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে গাছ লাগিয়ে এবং চাষাবাদ করে আসছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ২১ জুলাই দুপুরে ওয়াহিদ, আহাদ, শাকিল ও সেলিম মিলে তার জায়গা থেকে একটি আকাশমনি গাছ কাটে। এ সময় প্রতিবাদ করলে ওয়াহিদ মিয়া গং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে তার কোমর, মাথা ও হাতে গুরুতর জখম হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়।
আব্দুল্লাহ জানান, পরে তাদের শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে, সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় তার মেয়ে ১১ জনকে আসামি করে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু মূল আসামিদের কয়েকজন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথম ঘটনার পর মামলা নিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিল্ডিং ভাঙচুরের ঘটনায়ও আরেকটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
Comments