
সিলেটের জনপ্রিয় সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর লুটের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে ধলাই নদীতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, চুরি হওয়া সব পাথর উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, সাদাপাথরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা ও অবৈধ উত্তোলন বন্ধ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। তিনি আরও জানান, এই ধরনের অপরাধ বন্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
এর আগে জেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় জাফলং ও সাদাপাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনীর টহল, অবৈধ ক্রাশিং মেশিন বন্ধের অভিযান এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার মতো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, পাথর লুটের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি এনফোর্সমেন্ট টিমও বুধবার সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করেছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, কয়েক শ কোটি টাকার খনিজ সম্পদ অবৈধভাবে উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন এবং লুটপাটে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় এই লুটপাট দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।
Comments