Image description

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ছোট কৃষ্ণনগর গ্রামে রিমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার নিজ বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্বামী নাসির মাদবর সৌদি আরব থেকে সাত দিন আগে ফেরার পর এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও, পারিবারিক কলহ বা মানসিক অবসাদের সম্ভাবনা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে।

নিহত রিমা আক্তার চরধূপুড়িয়া গ্রামের মতি মোল্লার মেয়ে। প্রায় এক দশক আগে তার বিয়ে হয় ছোট কৃষ্ণনগরের নাসির মাদবরের সঙ্গে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। স্থানীয়ভাবে পরিবারটি সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য পরিচিত। স্থানীয় সূত্র জানায়, নাসির মাদবর সৌদি আরব থেকে ফিরে আসার সাত দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে তিনি বাজারে গেলে রিমাকে ঘরে রেখে যান। ফিরে এসে খোঁজাখুঁজির পর ঘরের পাটাতনের উপরে চালার সঙ্গে ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় রিমার মরদেহ দেখতে পান। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

জাজিরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ ও পরিবার প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কথা বললেও, ঘটনার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত নয়। স্থানীয়দের কেউ কেউ পারিবারিক কলহ বা মানসিক অবসাদকে দায়ী করছেন। তবে, এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো রহস্যজনক ঘটনা, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্বামীর সদ্য বিদেশ থেকে ফেরার পর এমন ঘটনায় পারিবারিক বিরোধের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। স্থানীয়রা রিমার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে দ্রুত তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও অন্যান্য আলামতের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”