Image description

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে বাড়ি থেকে খেলতে বের হওয়া ছয় বছর বয়সী শিশু আল হাবিবের খোঁজ না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে তার লাশ বাড়ির পাশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি পরিত্যক্ত টয়লেটে পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

নিহত শিশু আল হাবিব শিলাইকুঠি এলাকার আশরাফুল ইসলাম ও হ্যাপি আক্তার দম্পতির একমাত্র সন্তান। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে যে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পরিত্যক্ত টয়লেটে ফেলে রাখা হয়েছে।

নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন জানান, গতকাল বিকেলে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল হাবিব। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত আটটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের (দরজা ছাড়া) একটি টয়লেটে জমিয়ে রাখা ইটপাথরের ওপর শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পান স্বজনেরা। এ সময় শিশুটির পরনের শার্ট পেঁচিয়ে তার গলায় বাঁধা ছিল। পরে স্থানীয়রা তেঁতুলিয়া মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে দিবাগত রাত ১২টার দিকে থানায় নিয়ে যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হোসেন আরও জানান, শিশুটির বাবা আশরাফুল ইসলাম একসময় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। প্রায় দুই বছর আগে কাজ করার সময় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে তিনি প্রায় অচল হয়ে আছেন। এ কারণে পরিবারটি চরম অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছিল।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বুধবার সকালে জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধারের সময় তার গলা একটি শার্ট দিয়ে প্যাঁচানো ছিল এবং মাথার পেছন দিকে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।