মেহেরপুরের গাংনীতে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আবদুর রওফ নামের এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়েছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আবদুর রওফ মেহেরপুর পৌর শহরের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আবদুর রওফ বাঁশবাড়িয়া গ্রামের পল্লীচিকিৎসক আবদুল মাবুদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এই অর্থ না দিলে স্থানীয় পত্রিকায় মাবুদের বিরুদ্ধে 'প্রতিবেদন ছাপানোর' ভয় দেখাতেন রওফ। মুঠোফোনে চাঁদা দাবির পর গতকাল বিকেলে চাঁদা নিতে গেলে এলাকাবাসী তাকে ধরে পিটুনি দেন। পরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে খবর দিলে সেনাসদস্যরা রওফকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।

আবদুল মাবুদ জানান, রওফ কয়েক মাস ধরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‍্যাব দিয়ে আটকের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। রওফ মুঠোফোনে বলেছিলেন যে, "সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়। টাকা না দিলে মাবুদকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হবে না।" গতকাল তিনি চাঁদা নিতে এলে স্থানীয় মানুষ উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করেন।

আবদুর রওফের বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে মল্লিকপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রওফ দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছেন। এর আগে ভুয়া চিকিৎসক সেজে চাঁদা নিতে গেলে জনতা তাকে বেঁধে মারধর করেন এবং পরে প্রতারণার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ওই ভুয়া সাংবাদিককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং রওফের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।