
ফেনীর পরশুরামে পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. সায়েম নামের এক যুবদল নেতা ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একদল যুবক মিলে এক ব্যবসায়ীকে টেনেহিঁচড়ে দোকান থেকে বের করে পেটাচ্ছেন। একপর্যায়ে একজন বলে ওঠেন, ‘আমি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি, জানস?’
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সুমন জানান, এক বছর আগে তাঁর দোকান মেসার্স সিয়াম স্টোর থেকে সায়েম ত্রিপল নিয়ে ৪ হাজার ৯১০ টাকা বকেয়া রাখেন। অনেকবার তাগাদা দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ করেননি।
৯ জুলাই বিকেলে সায়েম পাশের দোকানে গেলে তিনি সরাসরি টাকা চান। ওই দিন রাতেই সায়েম, তাঁর ভাতিজা ফয়সাল এবং আরও কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দোকানে এসে সুমনকে মারধর করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, মারতে মারতে সুমনের গায়ের পোশাক খুলে নেওয়া হয়। তাঁকে মাফ চাইতে বাধ্য করা হয় সায়েমের কাছে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাঁরা চলে যান।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মো. সায়েম পরশুরাম পৌরসভার দক্ষিণ কোলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি যুবদলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক। তবে দলীয় নিয়ম ভেঙে শীর্ষ নেতাদের ছবি দিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন বানানোর অভিযোগে গত ২৫ জুন তাঁকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পরশুরাম পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মিসফাকুস সামাদ রনি বলেন, ‘ওই ভিডিও আমরা দেখেছি। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য সায়েমকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। দল তাঁর কোনো অন্যায় কাজের দায় নেবে না।’
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম বলেন, ‘ঘটনাটি ৯ জুলাইয়ের। মূলত ব্যবসায়ী তাঁর পাওনা টাকা চাইলে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বণিক সমিতির মাধ্যমে আপস-মীমাংসা হয়েছে বলে শুনেছি।’
ওসি আরও বলেন, পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে এবং ভুক্তভোগীকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উৎসাহিত করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত সায়েমের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।
Comments