
পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে রাজশাহী নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের মেহেরচন্ডী দক্ষিণপাড়ায় মহিলা দলের প্রভাব খাটিয়ে নয়ন কসমেটিকস নামে একটি দোকানে তালা ভেঙে দখল ও লুটপাটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী দোকান মালিক নয়ন আলী।
রবিবার ১৩ জুলাই দুপুরে নগরীর ভদ্রা মোড়ে দারুচিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে ২৬ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের সভানেত্রী আসমা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে নয়ন আলী বলেন, বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং আমার জীবিকার একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছে আমার শশুর বাড়ির লোকজন। তিনি বলেন আমার শাশুড়ী মোসাঃ আসমা বেগম ২৬ নং ওয়ার্ড এর মহিলা দলের সভাপতি তিনি তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। যার কারণে আমি আমার নিজ বাসাতে থাকতে পারছিনা।
তিনি আরো বলেন, আমি দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ‘নয়ন কসমেটিকস’নামে একটি দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম, কিন্তু গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে সাবেক স্ত্রী লিজা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা মোঃ কামাল হোসেন, মোসাঃ আসমা বেগম, মোঃ নাসির, মোঃ জয়নাল, মোঃ আলাল, মোঃ মিরাজ ও মোঃ কনক আমার দোকানে আসে এবং জোরপূর্বক দখল করে। তারা দোকানের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেয় এবং আমাকে দেশীয় অস্ত্র হাতে আক্রমণ করতে আসে। আমি প্রাণভয়ে পালিয়ে যাই এবং চিৎকার করলে স্থানীয় কিছু মানুষ এগিয়ে আসে।
এর আগে পারিবারিক সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় আমি ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী তালাকনামা পাঠাই কিন্তু আমার সাবেক স্ত্রী লিজা আক্তার সেই তালাকনামা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
নয়ন আলী অভিযোগ করে বলেন, এমতবস্থায় ২০ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে লিজা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং জোর পূর্বক দোকান দখল করে নেই। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়, এবং আমি প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। আমার দোকানের ভিতরে এখনো আমার নামে দোকানের ট্রেড লাইসেন্স, ঘরের চুক্তিপত্র এবং প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার পণ্যসামগ্রী রয়ে গেছে। আমি চন্দ্রিমা থানায় যোগাযোগ করি কিন্তু কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয় ও প্রশাসনের নিকট ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আমার ব্যবসা পুনরায় চালু করার জন্য আমাকে সহযোগিতা করার দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার (অফিসার ইনচার্জ) ওসি জানান, আমার জানা মতে এই রকম কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ঘটনার বিষয়ে পর্বরতী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্ত আসমা বেগম বলেন, আমার নামে যে অভিযোগ করেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা ভিত্তিহীন। বরং আমি এখনও চাই তারা একসাথে সংসার করুক।
Comments