জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজ হত্যা; ছিনতাই চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

টঙ্গীর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান (২১) হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। শনিবার রাতে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন মো. রাফসান জানি রাহাত (২৮), মো. রাশেদুল ইসলাম (২০), মো. কাওছার আহম্মেদ পলাশ (২৩) ও রাকিব ইসলাম (২৬)। তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই ছিনতাই ও মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
নিহত মাহফুজ বরিশাল সদর উপজেলার হায়াতসার গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। টঙ্গীর একটি বেসরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করতেন তিনি। পাশাপাশি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
রোববার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১-এর অপারেশনস ও মিডিয়া শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক সালমান নূর আলম। তিনি বলেন, এই চক্র একাধিকবার ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে মাহফুজকে তারা যে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তা তাদের বর্বরতার চূড়ান্ত প্রকাশ।
র্যাব জানায়, ঘটনার কিছু সময় পরই মাহফুজের পরিবার বাদী হয়ে একটি মামলা করে। তদন্তে তার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করতে গিয়ে রাত ১টার দিকে সেটির সক্রিয় সিগন্যাল ধরা পড়ে। এরপর সেই নম্বরের হোল্ডারকে খুঁজে বের করা হয়। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি মোবাইলটি ৩৫০০ টাকায় কিনেছেন টঙ্গীর মাজার বস্তির মো. রাকিব নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। পরে রাকিবকেও আটক করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব স্বীকার করেন, তিনি চোরাই মোবাইল বেচাকেনা করেন এবং একসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
র্যাবের দাবি, রাকিবের দোকানটি স্থানীয় ছিনতাইকারীদের ‘সেফ হেভেন’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখান থেকেই তারা চোরাই মোবাইল বিক্রি এবং অস্ত্র সংগ্রহ করত। রাকিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় পলাশ, রাশেদ ও রাফসান। তাদের মধ্যে রাশেদ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ছুরিকাঘাত করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
Comments