
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মোবাইল চুরির ঘটনায় থানায় সালিশ বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাজুল ইসলাম (৫০) নামে এক প্রবাসীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৭ জুলাই) মধ্যরাতে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের ঝিলমিল আবাসিক এলাকার পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, তাজুল ইসলামের মেয়ের জামাইয়ের দুটি মোবাইল চুরি হওয়ার পর চোর সন্দেহে দুজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হয়। থানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাজুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরে খোঁজাখুঁজি করে ঝিলমিল আবাসিক এলাকার রাস্তার পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
মেয়ের জামাই সবুজ মোল্লা জানান, তিনি এবং তার শ্বশুর তাজুল ইসলাম একসঙ্গে থানা থেকে বের হয়েছিলেন। সবুজ পথিমধ্যে তেঘরিয়া স্ট্যান্ডে রিকশা থেকে নেমে যান এবং তাজুল ইসলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যান। কিছুক্ষণ পর শাশুড়ি ফোন করে জানান, তাজুল ইসলাম এখনো বাড়িতে পৌঁছাননি। এরপর তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করলে রাস্তার পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আকতার হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।
Comments