Image description

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা ওয়াজকুরুনিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রবিউল্লাহর বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরতালিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওয়াজকুরুনি র‌্যাব-১১ আদমজীনগর কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন এবং শনিবার (২৮ জুন) নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান।

ওয়াজকুরুনি নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বিএনপির সহ-সভাপতি ও চরতালিমাবাদ এলাকার মৃত গহন আলীর ছেলে। 

এছাড়া অভিযুক্ত রবিউল্লাহ একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও শেখকান্দী নূর মোহাম্মদ হত্যা মামলার আসামি এবং মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াজকুরুনি বলেন, আমি কেমন মানুষ এলাকার সবাই জানে। আর অভিযুক্ত রবিউল্লাহ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে এলাকার বখাটে ছেলে হিসেবে পরিচিত। এছাড়া সে একটি হত্যা মামলার আসামি। আমি একজন মৎস্য চাষি। আমার খামার বিক্রি করার উদ্দেশে লোক আসে দেখার জন্য। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নাম্বারে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

তিনি আরও বলেন, একদিন আমাকে ফোন করে বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তর পুরো পরিবারকে হত্যা করা হবে। এ ঘটনায় আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু কুচক্রী মহল হেনস্তা করার জন্য আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি একটি কোম্পানি থেকে আমি নাকি চাঁদা দাবি করছি। এটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

এ বিষয়ে শরিফ ইন্ডাস্ট্রিয়ালের ম্যানেজার মো. মামুন মিয়া বলেন, ওয়াজকুরুনী আমাদের কাছে কোনো চাঁদা দাবি করেনি। এটি একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ বিষয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এটি নিজেদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি। এ নিয়ে বসে সমাধান করে দিবো।